রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি যেভাবে নিবেনঃ ৯ টি সহজ টিপস


চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি যেভাবে নিবেনঃ ৯ টি সহজ টিপস

 

চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে কিভাবে শুরু করবো? এটি একটি কমন প্রশ্ন। শিক্ষা জীবন শেষ হবার সাথেই সাথেই এই ধরনের চিন্তাগুলো মাথায় চেপে বসে। আজ কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যা চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে সহায়ক হবে বলে আশা করি।
শিক্ষাজীবন শেষ হবার পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হচ্ছে ক্যারিয়ার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া। আপনি কোন পেশায় আগ্রহি সেটা সনাক্ত করা এবং সিদ্ধান্ত নেয়া। অনেকেই শিক্ষাজীবন থাকাকালীন সময়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যেটা খুবই ভালো। আপনি যে পেশাতেই যান না কেন প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি, আপনার বেসিকটাও ভালো জানা থাকতে হবে।
প্রতিটা ডিগ্রী আপনাকে আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করতে সহায়তা করবে কিন্তু চাকরি পেতে হলে ডিগ্রীর পাশাপাশি প্রয়োজন নানা প্রস্তুতি।

চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি কখন নিবেন

শিক্ষাজীবন শুরু হবার সাথে সাথেই চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি নেয়া ভালো। তা না হলে শিক্ষাজীবন শেষে চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতি নিতে নিতে অনেক সময় লেগে যাবে। একারনে এটা যত আগে থেকে নিতে পারবেন ততই ভালো।

দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতেই হবে কেননা আপনাকে অনেকের সাথে প্রতিযোগিতা করে চাকরি পেতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে সাথে সেই সাব্জেক্টের ব্যবহারিক জ্ঞান জেনে রাখতে হবে। টার্গেট অনুযায়ী আপনাকে নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।

রুটিন তৈরি করুন

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পরেই আপনাকে রুটিন বানাতে হবে। সঠিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সঠিক নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বিষয়ের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় ভাগ করে নিন এবং রুটিন তৈরি করে ফেলুন।

যোগাযোগ ও খোঁজ-খবর

আপনি যে বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন সেই বিষয়ের সিনিয়র ভাইদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন। চাকরির ক্ষেত্র, পরিবেশ, অবস্থা ইত্যাদি নিয়ে আলাপ করুন। কোন ধরনের চাকরির জন্য কি ধরনের প্রস্তুতি দরকার তা খোঁজ-খবর নিন। যেমনঃ শিক্ষক হতে চাইলে আপনাকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিতে হবে তাই আপনি যে পেশাই আছেন সেই পেশার জন্য বিশেষ কোন প্রশিক্ষন বা স্কিলের প্রয়োজন পরলে শুরু করুন আগে থেকেই।

জীবনবৃত্তান্ত তৈরি

চাকরির আবেদন করার সময় যেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় সেটা আপনার জীবনবৃত্তান্ত তৈরি। জীবনবৃত্তান্ত হলো চাকরি পাবার ক্ষেত্রে প্রথম ইম্প্রেশন তাই এটা খুব ভালভাবে তৈরি করুন এবং সঠিক তথ্য যুক্ত করুন। কিভাবে একটি সিভি করবেন তা অনলাইনে সার্চ দিলেই আপনি পেয়ে যাবেন। এরপরেও আমাদের সাইটটিতে এটা নিয়ে একটা আর্টিকেল খুব দ্রুত পাব্লিশ করা হবে।

সাম্প্রতিক বিষয়ে নজরদারি

নিয়োগ পরীক্ষায় সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও বিভিন্ন সাম্প্রতিক বিষয় অনুসরন করতে পারেন।

বিগত বছরের প্রশ্ন

নিয়োগ পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্নসমূহ সমাধান করে রাখুন। প্রায় সব ক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে প্রতিবছরই অনেক প্রশ্নের মিল থাকে। এছাড়া সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো প্রশ্নের প্যাটার্ন নিয়ে ভালো একটা ধারনা পাবেন।

পাঠ্যবই

বাজারে বিভিন্ন ধরনের সাধারন জ্ঞানের বই পাওয়া যায় যার মধ্যে রয়েছে আজকের বিশ্ব, নতুন বিশ্ব, এমপিথ্রি, জ্ঞানকোষ, মেট্রিক্স, ক্যারিয়ার এইড, কনফিডেন্স অনেক জনপ্রিয়। জব সলিউশন থেকে নিয়োগ পরীক্ষার সাধারণ  জ্ঞানের প্রশ্ন সমাধান করলে অনেক কাজে দেবে।

নিজের উপর আস্থা রাখুন

সম্ভব না, হচ্ছে না, হবে না এ সমস্ত কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নিজের উপর আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যান ও বারবার অনুশীলন করুন। কখনো হতাশ হবেন না কেননা যারা চাকরি করছেন কিংবা চাকরি পাচ্ছেন তারা আপনার আমার মতোই মানুষ।

বিশ্বের উচ্চতমঃ এ জাতীয় কিছু তথ্য বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই আসে। তাই এগুলোকে গুরুত্ব দিন
১/ উচ্চতম সেতু → জর্জ সেতু।
২/ উচ্চতম প্রাণী → জিরাফ।
৩/ উচ্চতম প্রাসাদ → ভ্যাটিকান সিটি প্রাসাদ।
৪/ উচ্চতম হ্রদ → টিটিকাকা।
৫/ উচ্চতম মূর্তি → মাদার ল্যান্ড (মস্কো)।
৬/ উচ্চতম মালভূমি → পামির মালভূমি।
৭/ উচ্চতম টাওয়ার বিল্ডিং → বুর্জ খলিফা।
৮/ উচ্চতম জলপ্রপাত → অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত।
৯/ উচ্চতম পিরামিড → খুফুর পিরামিড।
১০/ উচ্চতম আগ্নেয়গিরি → গুয়ালটিবি আগ্নেয়গিরি।
১১/ উচ্চতম বাতি ঘর → ইসমিতা পার্ক বাতিঘর।
১২/ উচ্চতম গিরিপথ → আলপিনা গিরিপথ।
১৩/ উচ্চতম রাজধানী → লাপাজ।
১৪/ উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ → এভারেস্ট।
১৫/ উচ্চতম বাঁধ → রোগেন বাঁধ।
১৬/ উচ্চতম স্ট্যাচু → স্ট্যাচু অব লিবার্টি।
১৭/ উচ্চতম শহর → ওয়েন চুয়ান।
১৮/ উচ্চতম মিনার → বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান মসজিদ মিনার।




জেনে নিন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থাবলী ও রচয়িতাঃ বিভিন্ন পরীক্ষা ও ভাইবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ
আমি বিজয় দেখেছি → এম আর আখতার মুকুল; (সাগর পাবলিশার্স)
২। একাত্তরের দিনগুলি → জাহানারা ইমাম; (সন্ধানী প্রকাশনী)
৩। Bangladesh a Legacy of Blood → Anthony Mascarenhas
৪। The Rape of Bangladesh → Anthony Mascarenhas.
৫। The cruel Birth of Bangladesh → Archer K. Blood; University Press Limited
৬। মুক্তিযুদ্ধের আন্ঞ্চলিক ইতিহাস → আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন
৭। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আড়ালে যুদ্ধ → অধ্যাপক আবু সায়ীদ
৮। প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি → আবু সাঈদ চৌধুরী
৯। একাত্তর-নির্যাতনের কড়চা → আতাউর রহমান
১০। মুক্তিযুদ্ধের অপ্রকাশিত কথা → আতিকুর রহমান
১১। ১৯৭১ সালে উত্তর রণাঙ্গনে বিজয় → আখতারুজ্জামান মণ্ডল; (জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী)
১২। আমি বিজয় দেখতে চাই → আজিজ মেসের
১৩। স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রবাসী বাঙ্গালী → আবদুল মতিন
১৪। মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা → আবুল হাসনাত
১৫। স্বাধীনতা যুদ্ধে বৃহত্তর কুষ্টিয়া → মোঃ আবদুল হান্নান
১৬। মানবতা ও গণমুক্তি → আহমদ শরীফ
১৭। জাগ্রত বাংলাদেশ → আহমদ মুসা
১৮। মুক্তিযুদ্ধের ভিন্ন ছবি → এনায়েত মাওলা
১৯। জীবনের যুদ্ধ যুদ্ধের জীবন → কর্নেল নুরুন্নবী খান
২০। স্বাধীনতা '৭১ (১ম ও ২য় খণ্ড) → কাদের সিদ্দিকী
২১। যখন পলাতক → মুক্তিযুদ্ধের
দিনগুলি : গোলাম মুরশিদ
২২। স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয় এবং অতঃপর → কামরুদ্দীন আহমদ
২৩। যুদ্ধদিনের কথা → জিম ম্যাকিনলে
২৪। সিলেটে গণহত্যা → তাজুল মোহাম্মদ
২৫। সিলেটের যুদ্ধকথা → তাজুল মোহাম্মদ; (সাহিত্য প্রকাশ, ১৯৯৩)
২৬। মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু → নুরুল ইসলাম মন্ঞ্জুর।
২৭। স্বাধীনতা সংগ্রাম → কিশানচন্দ্র/বরুণ দে/অমলেশ ত্রিপাঠী
২৮। একাত্তরের স্মৃতি → বাসন্তি গুহঠাকুরতা; (ইউনিভার্সিটি প্রেস
লিমিটেড)
২৯। সংগ্রামমুখর দিনগুলি → বারীন দত্ত
৩০। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র → বেলাল মোহাম্মদ; (অনুপম প্রকাশনী,১৯৯৩)
৩১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং পাকিস্তান → বোরহানউদ্দিন খান
৩২। একাত্তর কথা বলে → মনজুর আহমদ
৩৩। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ → মাহবুব কামাল
৩৪। গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধে → মাহবুব আলম; (সাহিত্যপ্রকাশ)
৩৫। ২৫ অখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিকথা → মারুফ রায়হান
৩৬। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম → মোঃ ওয়ালিউল্লাহ
৩৭। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা ১৯৭১ → রতনলাল চক্রবর্তী
৩৮। বাংলাদেশ-গণহত্যার ইতিহাসে ভয়ংকর অধ্যায় → গোলাম হিলালী
৩৯। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে →মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম
৪০। বাংলাদেশের সাহিত্যে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ → বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম
৪১। একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে → মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম
৪২। স্মৃতি ১৯৭১ → রশীদ হায়দার
৪৩। অসহযোগ আন্দোলন '৭১ → রশীদ হায়দার
৪৪। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস → লুৎফর রহমান রিটন
৪৫। স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকায় গেরিলা অপারেশন → হেদায়েত হোসেন
৪৬। একাত্তর করতলে ছিন্নমাথা → হাসান আজিজুল হক; (সাহিত্য প্রকাশ)
৪৭। একাত্তরের ঢাকা → সেলিনা হোসেন; (আহমদ পাবলিশিং হাউজ)
৪৮। মুক্তিযুদ্ধ ডেটলাইন আগরতলা → হারুন হাবীব
৪৯। একাত্তরের ঘাতক দালাল যা বলেছে যা করেছে → সংকলক- নূরুল ইসলাম; (মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ)
৫০। জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা → মেজর (অবঃ) কামরুল হাসান ভূঁইয়া




একনজরে ৬১টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ভিটামিন ও খাদ্য বিষয়ক সকল তথ্য
★★সুবিধামত সময়ে পড়তে লাইক ও শেয়ার করে টাইমলাইনে রাখুন।
★ সুষম খাদ্যের উপাদান –- ৬ টি।
★ প্রোটিন বেশি থাকে -- মসুর ডালে।
★ হাড় ও দাতকে মজবুত করে -- ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস।
★ চা পাতায় থাকে -- ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
★ ম্যালিক এসিড -- টমেটোতে পাওয়া যায়।
★ ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে -- ভিটামিন কে।
★ Natural Protein এর কোড নাম -- Protien - P 49.
★ কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান --- লৌহ উপাদানের জন্য।
★ ভিটামিন সি হলো -- অ্যাসকরবিক এসিড
★ তাপে নষ্ট হয় -- ভিটামিন সি।
★ আমিষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি --- শুটকী মাছে।
★ গলগল্ড রোগ হয় -- আয়োডিনের অভাবে।
★ মানবদেহ গঠনে প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি --- আমিষের।
★ আয়োডিন বেশি থাকে -- সমুদ্রের মাছে।
★ কচু খেলে গলা চুলকায়, কারণ কচুতে আছে -- ক্যালসিয়াম
অক্সালেট।
★ রাতকানা রোগ হয় -- ভিটামিন এ এর অভাবে।
★ মুখে ও জিহবায় ঘা হয় -- ভিটামিন বি₂ এর অভাবে।
★ পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন -- ভিটামিন বি ও সি
★ শিশুদের রিকেটাস রোগ হয় -- ভিটামিন ডি এর অভাবে।
★ মিষ্টি কুমড়া -- ভিটামিন জাতীয় খাদ্য।
★ মিষ্টি আলু -- শ্বেতস্বার জাতীয় খাদ্য।
★ শিমের বিচি -- আমিষ জাতীয় খাদ্য।
★ দুধে থাকে -- ল্যাকটিক এসিড।
★ আয়োডিনের অভাবে -- গলগন্ড রোগ হয়।
★ হেজ তৈরিতে ব্যবহৃত উদ্ভিদ -- করমচা
★ লেবুতে বেশি থেকে -- ভিটামিন সি
★ আমলকী, লেবু, পেয়ারা ভিটামিনের উৎস -- ভিটামিন সি।
★ সর্বাধিক স্নেহ জাতীয় পদার্থ বিদ্যমান -- দুধে।
★ রক্তশূন্যতা দেখা দেয় -- আয়রনের অভাবে।
★ দুধের রং সাদা হয় -- প্রোটিনের জন্য।
★ ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম -- অ্যাসকরবিক এসিড।
★ প্রোটিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয় -- অ্যামাইনো এসিড।
★ কচুশাকে বেশি থাকে -- লৌহ।
★ সুষমখাদ্যে শর্করা, আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাদ্যের অনুপাত -- ৪:১:১
★ সবুজ তরিতরকারিতে সবচেয়ে বেশি থাকে -- খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন।
★ সবচেয়ে বেশি পাটাশিয়াম পাওয়া যায় -- ডাবে।
★ মাড়ি দিয়ে পুজি ও রক্ত পড়ে -- ভিটামিন সি এর অভাবে।
★ মানবদেহের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন -- আমিষ জাতীয় খাদ্য।
★ সূর্য কিরণ হতে পাওয়া যায় -- ভিটামিন ডি।
★ ডিমের সাদা অংশে যে প্রোটিন থাকে -- অ্যালবুমিন
★ আমিষের কাজ -- দেহ কোষ গঠনে সহয়তা করা।
★ মোটামুটি সম্পূর্ণ বা আদর্শ খাদ্য বলা হয় -- দুধকে।
★ কোলেস্টরল -- এক ধরণের অসম্পৃক্ত অ্যালকোহল।
★ কোলাজেন -- একটি প্রোটিন।
★ হাড় ও দাত তৈরির জন্য প্রয়োজন -- ডি ভিটামিন
★ ভিটামিন ডি এর অভাবে -- রিকেটস রোগ।
★ অস্থির বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন -- ক্যালসিয়াম।
★ মলা মাছে থাকে -- ভিটামিন ডি।
★ সহজে সর্দি কাশি হয় -- ভিটামিন সি এর অভাবে।
★ বিষাক্ত নিকোটিন থাকা -- তামাকে।
★ ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে -- আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি।
★ শরীরে শক্তি যোগাতে দরকার -- খাদ্য
★ সামুদ্রিক মাছে পাওয়া যায় -- আয়োডিন।
★ সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল -- পেয়ারা।
★ ভিটামিন এ সবচেয়ে বেশি -- গাজরে।
★ মানুষের প্রোটিনের অভাবে -- কোয়াশিয়কর রোগে।
★ আয়োডিন পাওয়া যায় -- শৈবালে।
★ আমাদের দেশে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রায় গড় ক্যালরি শক্তির প্রয়োজন -- ২৫০০ ক্যালরি।
★ গ্লুকোজের স্থূল সংকেত -- CH2O
★ ল্যাথারাইজম রোগ -- খেসারি ডাল খেলে।
★ শরীরের হাড় ও দাতের গঠনের কাজে বেশি প্রয়োজন -- ক্যালসিয়াম।






জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
১/ মুক্তার ওজনের এককের নাম কী? –- গ্রেন।
২/ বাদুড় রাতের বেলায় চলাফেরার দিক নির্ণয় করে -- আলট্রাসনিক সাউন্ড এর মাধ্যমে।
৩/ একখন্ড বরফকে উত্তপ্ত করে পানিতে পরিণত করলে আয়তন -- কমবে।
৪/ কোন গ্রহকে গ্রহরাজ বলা হয়? –- বৃহস্পতি।
৫/ DNA গঠিত হয় কোন নাইট্রোজেন যুক্ত বেস দিয়ে? –– ডায়ামিন।
৬/ ঘন পাতা বিশিষ্ট বৃক্ষের নিচে রাতে ঘুমানো স্বাস্থসম্মত নয় কারণ -- অধিক পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়।
৭/ জলজ উদ্ভিদ সহজে ভাসার কারণ -- এদের মূলে অনেক বায়ু কুঠুরী আছে।
৮/ পেন্সিল তৈরীতে ব্যবহৃত হয় কোনটি? –– ধুন্দল।
৯/ সোনায় মরিচা ধরে না কেন? –- সোনা অনেকটা নিষ্ক্রিয় ধাতু
১০/ পাইরোমিটার কী? –- সূর্যের উত্তাপ নির্ণায়ক যন্ত্র।
১১/ আবহাওয়ায় ৯০% আর্দ্রতা মানে কী? –– বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সম্পৃক্ত অবস্থায় ৯০%।






৩৬ তম বিসিএস প্রস্তুতিঃ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কিছু গণমাধ্যম
১/ আল জাজিরা হলো -– কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম।
২/ CNN হলো –- Cable News Network.
৩/ 'তাস' কোন দেশের সংবাদ সংস্থা –- রাশিয়া।
৪/ ফেসবুক এর প্রতিষ্ঠাতা —- মার্ক জুকারবার্গ।
৫/ বিশ্বের প্রাচীনতম সংবাদ সংস্থা –- AFP.
৬/ রয়টাস যে দেশের সংবাদ সংস্থা –- যুক্তরাজ্য।
৭/ সিনহুয়া কোন দেশের সংবাদ সংস্থা –- চীন।
৮/ বিবিসির সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত –- লন্ডন।
৯/ Reader's Digest কি –- ম্যাগাজিন।
১০/ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা –- আসাহি শিম্বুন।





বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি টিপস (সাধারণ জ্ঞান)
★★নিয়মিত পোষ্ট পেতে লাইক ও কমেন্ট করুন।
১/ সোনারগাঁ বাংলাদেশের রাজধানী হয় = মুঘল আমলে আর এখানেই আমাদের লোকশিল্প জাদুঘর অবস্থিত।
২/ অবিভক্ত বাংলার ১ম মুখ্যমন্ত্রী = এ.কে. ফজলুল হক আর শেষ মুখ্যমন্ত্রী = হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
৩/ মায়ানমার, ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে = রাঙ্গামাটি জেলায় (মোট সীমান্তবর্তী জেলা - ৩২টি, মায়ানমারের সাথে - ৩টি)।
৪/ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় = ১৯৫২ সালে।
৫/ এমিরিটাস প্রফেসরের মেয়াদ = আজীবন।
৬/ অস্কার পুরস্কারের অন্য নাম = একাডেমী পুরস্কার।
৭/ বাংলা একাডেমির মুল ভবনের নাম = বর্ধমান হাউজ।
৮/ লৌহ মানবী = মার্গারেট থ্যাচার আর মোনালিসা চিত্রকর্মটি = লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির (লুভর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত)।
৯/ সর্বপ্রথম ভোটের অধিকার পায় = নিউজিল্যান্ডের মহিলারা।
১০/ গ্রিন প্রিস হলো = পরিবেশবাদী সংগঠন।
১১/ ওয়াটার লু যুদ্ধক্ষেত্র অবস্থিত = বেলজিয়ামে।
১২/ A Long Walk To Freedom বইটির লেখক = নেলসন ম্যান্ডেলা।
১৩/ বাংলাদেশের তৈরী প্রথম যুদ্ধজাহাজ = পেট্রল ক্রাফট।
১৪/ যে দেশটি কখনও উপনিবেশ ছিল না = থ্যাইল্যান্ড।
১৫/ এভারেষ্ট বিজয়ী ১ম বাংলাদেশী = মুসা ইব্রাহিম, দুবার জয় করে = এম.এ. মুহিত আর ১ম মহিলা এভারেষ্ট বিজয়ী = নিশাত মজুমদার।




৩১/ আধুনিক বাংলা সাহিত্তের প্রথম কাব্য ও লেখক ? উঃ পদ্মিনী উপাখ্যান, রঙ্গলাল মুখোপাধ্যায়।
৩২/ ’চোরাবালি ‘ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা? উঃ বিষ্ণু দে।
৩৩/ ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর এর পারিবারিক পদবি ––বন্দোপাধ্যায়।
৩৪/ ‘এক’ ব্যতীত অন্য কোনো সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে টা, টি যুক্ত হলে কী বোঝায়? উঃ নির্দিষ্টতা।
৩৫/ ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান’ ‒ এখানে ‘টাপুর টুপুর’ কোন ধরনের শব্দ? উঃ দ্বিরুক্ত শব্দ।
৩৬/ একটি ঘড়িতে ৬ টার ঘন্টা ধ্বণি ঠিক ৬ টায় শুরু করে বাজতে ৫ সেকেন্ড সময় লাগে। ঐ ঘড়িতে ১২ টার ঘন্টাধ্বনি বাজতে কত সেকেন্ড সময় লাগবে? (ঘন্টাধ্বনি সমান সময় ব্যবধানে বাজে) উঃ ১০ সেকেন্ড।
৩৭/ কোন কোন স্থানে সলিড ফিনাইল ব্যাবহার করা হয়? উঃ পায়খানা, প্রস্রাবখানায়।
৩৮/ ডাক্তার নাড়ি পরীক্ষা করার সময় মূলত কী দেখেন? উঃ ধমনীর স্পন্দন।
৩৯/ কোন ডালের সঙ্গে ল্যাথারাইজম রোগের সর্ম্পক আছে ? উঃ খেসারী।
৪০/ E-49 কি? উঃ প্রোটিন
৪১/ সিনেমাস্কোপ প্রজেক্টারে কোন ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয়? উঃ অবতল।
৪২/ প্রবল জোয়ারের কারণ ,যখন – উঃ সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যথাক্রমে এক সরলরেখায় অবস্থান করে।
৪৩/ বিদ্যুৎকে সাধারণ মানুষের কাজে লাগানোর জন্য কোন বৈজ্ঞানিকের অবদান সবচেয়ে বেশি? উঃ টমাস এডিসন।
৪৪/ লেডের আকরিক কোনটি? উঃ গ্যালেনা।
৪৫/ বস্তুর বেগ দ্বিগুণ হলে উহার- উঃ ভরবেগ দ্বিগুন হয়।





জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
১/ সাদা রক্তের বা বর্ণহীন রক্তের প্রাণী কোনটি? → তেলাপোকা।
২/ প্রাণী কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয় কাকে? → মাইটোকন্ড্রিয়া।
৩/ প্রাকৃতিক লাঙ্গল বলা হয় কাকে? → কেঁচো।
৪/ বাদুর রাতের বেলা চলাচল করে কিভাবে? → আল্ট্রাসনিক সাউন্ড এর মাধ্যমে।
৫/ জীবাণু বিদ্যার জনক কে? → ভন লিউয়েন হুক।
৬/ সবচেয়ে ক্ষুদ্র জীব কোনটি? → মানব ডিম্বানু।
৭/ পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম স্তন্যপায়ী প্রাণী কোনটি? → বামন চিকা।
৮/ সবচেয়ে বড় ফুল কোনটি ? → র্যাফোসিয়া আরনন্ডি।
৯/ শরীর বিদ্যার জনক কাকে বলা হয়? → উইলিয়াম হার্ভে।
১০/ সর্বপ্রথম অনুবীক্ষণ যন্ত্র আবিস্কার করেন কে? → ভন লিউয়েন হুক।
১১/ অরিজিন অফ স্পিসিস বইটির রচয়িতা কে? ডারউইন।
১২/ উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক কে? → থিও ফ্রাসটাস।
১৩/ জীনের রাসায়নিক গঠন কী? → ডিএনএ।
১৪/ সিঙ্কোনা কি কাজে ব্যাবহৃত হয়? → ম্যালেরিয়া ঔষধ।
১৫/ শর্করা খাদ্যের প্রাথমিক উৎস কী? → সবুজ উদ্ভিদ।





একনজরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ
১/ IMF - ১০মে, ১৯৭২।
২/ Commonwealth – ১৮ এপ্রিল ১৯৭২।
৩/ WHO – ১৭ মে ১৯৭২।
৪/ ILO – ২২ জুন ১৯৭২।
৫/ IBRD(World Bank) – ১৭ আগস্ট ১৯৭২।
৬/ UNO - ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭২।
৭/ UNESCO – ২৭ অক্টোবর ১৯৭২।
৮/ IAEA - ১৯৭২।
৯/ NAM – ১৯৭২।
১০/ FAO – ১২ নভেম্বর ১৯৭৩।
১১/ OIC - ২৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪।
১২/ IDB - ১৯৭৪।
১৩/ INTERPOL – ১৪ অক্টোবর ১৯৭৬।
১৪/ ICC-র সহযোগী সদস্য – ২৬ জুলাই ১৯৭৭।
১৫/ ICC-র পূর্ণ সদস্য – ২৬ জুন ২০০০।
১৬/ FIFA – ১৯৭৪।
১৭/ IOC (Olympic) – ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৮০।




একনজরে বিগত সালের গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও তথ্য
১/ প্রথম বাংলাদেশী এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহীম কোন সালে মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহন করেন? – ২০১০ সালে।
২/ তামাবিল সীমান্তের সাথে ভারতের কোন শহরটি অবস্থিত? – ডাউকি।
৩/ BTRC এর ইংরেজী পূর্ণরূপ কোনটি? – Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission.
৪/ বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্ববৃহৎ কারখানা কোথায়? … – সৈয়দপুর।
৫/ বাংলাদেশের White Gold কোনটি? – চিংড়ি।
৬/ বাংলাদেশের কোন জেলাটি বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের মধ্যে নয়? – কক্সবাজার।
৭/ ‘সোনালিকা’ ও ‘আকবর’ বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে কিসের নাম? – উন্নত জাতের গমের নাম।
৮/ ‘আলোকিত মানুষ চাই’ এটি কোন প্রতিষ্ঠানের স্লোগান? – বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র।
৯/ যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে –– দর্পণ।
১০/ মানুষের স্পাইনাল কর্ডের দৈর্ঘ্য –– ১৮ ইঞ্চি প্রায়।
১১/ মাছ অক্সিজেন নেয় –– পানির মধ্যে দ্রবীভূত বাতাস হতে।
১২/ বাদুড় চলাফেরা করে –– সৃষ্ট শব্দের প্রতিধ্বনি শুনে।
১৩/ এনজিও প্লাষ্টি হচ্ছে –– হৃৎপিন্ডের বন্ধ শিরা বেলুনের সাহায্যে ফুলানো।
১৪/ আমাদের দেহকোষ রক্ত হতে গ্রহণ করে –– অক্সিজেন ও গ্লুকোজ।
১৫/ যখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ অবস্থান করে তখন হয় –– সূর্যগ্রহণ।
১৬/ ‘গ্যালিলিও’ হলো –– পৃথিবী থেকে পাঠানো বৃহস্পতির একটি কৃত্রিম উপগ্রহ।
১৭/ সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে –– ১০ নিউটন।

ভাইবা বোর্ডে প্রবেশ করার পূর্বে কিছু পূর্ব প্রস্তুতি এবং  দিক নির্দেশনা(ভাইবা টিপস)

শুরুতেই বলে রাখি, লেখাটি সকল মানুষদের জন্য প্রযোজ্য, আশা করছি যারা চাকুরী ভাইবাতে নিজেকে প্রস্তুত করতে চাই তারা এই লেখাটির মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন।
একটি প্রতিষ্ঠান অবশ্যই চাইবে দক্ষ লোক নিয়োগ করতে। তারা বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে আপনাকে তাদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেবে। একজন চাকুরীপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্মার্টনেস, বাচনভঙ্গি, উপস্থাপন কৌশল ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক সময় আমরা ভাইবা কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথে নিজের অজান্তেই নিজেদের অযোগ্য করে তুলি। ফলে নিয়োগদাতারা সৌজন্যমূলক প্রশ্নকরেই বিদায় করে দেন। এ পরিস্থিতি এড়াতে এখন কিছু কৌশল শেয়ার করবো।
ভাইবা টিপসঃ
  • আপনার সিভি/বায়োডাটা বা জীবনবৃত্তান্ত তৈরির সময় অবশ্যই আপনাকে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন সেই পদটি সম্পর্কে বায়োডাটাতে ফোকাস করতে হবে। জীবনবৃত্তান্ত সাথে প্রয়োজনে একটি ফরোয়ার্ডিং লেটারও দিতে হবে।
নোটঃ অনেকসময় জীবনবৃত্তান্ত চাকুরীপ্রার্থী নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার জন্য ভুল তথ্য পেশ করে থাকেন যা মোটেও উচিত নয় কারন পরবর্তীতে বিষয়টি জানা জানি হলে লজ্জাকর অবস্থায় পড়তে হতে পারে এমনকি চাকুরী চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 
জীবনবৃত্তান্ত ও ফরোয়ার্ডিং লেটারে কখনোই বানান ভুল হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে কয়েকবার পরীক্ষা করুন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (শিক্ষাগত যোগ্যতা, মার্কশিট, বিভিন্ন শর্ট কোর্স সার্টিফিকেট, অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট, ছবি) ইত্যাদি সঙ্গে করে রাখবেন। ভাইবা বোর্ডে যেকোন সময় এগুলো প্রয়োজন হতে পারে এছাড়া কলম তো রাখতেই হবে। এসব রাখার জন্য ভালো মানের একটি ব্যাগ, ব্রিফকেস সঙ্গে রাখতে পারেন যা আপনার গ্রুমিং এর বিষয়টি অনেক ফর্মাল রাখবে।
নোটঃ তবে ব্যাগ বা ব্রিফকেস কিংবা বায়োডাটার ব্যাগ টেবিলের উপর না রেখে পাশে কোথাও রাখা উচিত
  • নিজের ভিতর ক্লান্তিভাব পরিহার করুন। নির্দিষ্ট সময়ের আগ মুহূর্তে না এসে বরং আগেই উপস্থিত থাকুন এবং আধাঘন্টা আগে উপস্থিত হয়ে নিজেকে প্রানবন্ত করে তুলুন।
নোটঃ ভাইবার আগে রাতে কোনভাবেই রাত জাগা ঠিক নয়। রাত জাগলে নিজের ভিতর ক্লান্তিভাব চলে আসবে এবং অনেক ক্ষেত্রে আপনি জানা বিষয়গুলো এলেমেলো করে ফেলতে পারেন।
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভাইবা বোর্ডে এসে হাজির হওয়া উচিত। ভাইবা বোর্ডে কোন ক্রমেই দেরি করে উপস্থিত হবেন না। সবসময় চেষ্টা করবেন ফর্মাল শার্ট এবং প্যান্ট পড়তে। এর সাথে ফর্মাল শো থাকতে হবে।
নোটঃ ভাইবা বোর্ডে সময়মত না আসতে পারাটাই আপনার অযোগ্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।
  • সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবেন। কথা বলার সময় যেন হাত পা না নড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। যখন যে ইন্টারভিউয়ার আপনাকে প্রশ্ন করবে তখন তার দিকে তাকিয়ে উত্তর দেবার চেষ্টা করবেন।
নোটঃ অনেকেই ভাইবা বোর্ডে প্রধানের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন, এটা একদম ঠিক নয়। খেয়াল রাখবেন যে ইন্টারভিউয়ার আপনাকে প্রশ্ন করেছে তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
  • ভাইবা দেওয়ার সময় আঞ্চলিকতা পরিহার করুণ আর লক্ষ্য রাখবেন কোনভাবেই যেন আঞ্চলিকতা প্রকাশ না পাই। ইন্টারভিউয়ার যদি আপনাকে বাংলাতে প্রশ্ন করেন তাহলে তার উত্তর বাংলাতে দিতে হবে আর যদি ইংরেজি প্রশ্ন করে থাকেন তাহলে ইংরেজিতে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
নোটঃ বাংলা বা ইংরেজি যায় হোক না কেন, উচ্চারণ সঠিক রাখতে চেষ্টা করবেন। উচ্চারণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
  • ভাইবা দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখতে হবে। সম্ভব হলে ভাইবা বোর্ডে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন সে সম্পর্কে অবগত হওয়া। প্রয়োজনে পরীক্ষার কেন্দ্র সম্বন্ধে ধারনা রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে।
নোটঃ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কার্যপদ্ধতি অনুসারে নিজের দক্ষ, এবং কনফিডেন্সকে উপস্থাপন করা যেতে পারে যা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট হবে।
  • সংক্ষেপে হাসিমুখে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন, অপ্রাসঙ্গিক বিষয় পরিহার করুণ, গোমড়া মুখে বসে না থাকার চেষ্টা করুণ। সকল প্রশ্ন হাসিমুখে দেওয়ার চেষ্টা করুণ। অকারনে হাঁসা যাবে না, কোন প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকলে বিনীতভাবে বলতে হবে সরি স্যার বা জানা নেই স্যার।
  • অনেক সময় ইন্টারভিউয়ার ইচ্ছা করে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় প্রশ্ন করে পরীক্ষার্থিকে বিব্রান্ত করার চেষ্টা করেন বা মানসিকতা যাচাই করেন, এসময় কোন ক্রমেই মাথা গরম না করে শান্তভাবে সেসকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • বিনীতভাবে নিজেকে উপাস্থপ করুণ, হেলান দিয়ে চেয়ার না বসাই ভালো। এছাড়া অনেক সময় স্মার্ট দেখাতে গিয়ে অভারস্মার্ট দেখানোর চেষ্টা করবেন না। এতে ব্যাপারটি নাটকীয় ভঙ্গি হবে যা আপনার সুন্দর, সাবলীল বীণয় কে নষ্ট করে দিবে। উত্তর দেওয়ার সময় যোগ্যতা বহিঃপ্রকাশ দেখানো যেতে পারে।
  • কোনভাবেই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। মিথ্যা তথ্য আপনার জন্য ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ভাইবা টিপস সম্বন্ধে আমরা জানলাম। এবার আমরা জানবো ভাইবা বোর্ডে কিছু কমন প্রশ্ন সম্বন্ধে।

ভাইবা বোর্ডে কিছু কমন প্রশ্ন

ভাইবা বোর্ডে কিছু কমন প্রশ্ন হয়ে থাকে তা নিচে দেওয়া হলো, অনুগ্রহ করে প্রশ্নগুলো নিজের মত করে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
  • নিজের সম্পর্কে ৫ মিনিট বলুন(বাংলা/ইংরেজিতে)
  • আপনার নামের কোন অর্থ আছে কি? থাকলে বলুন।
  • আপনার নিজের সম্পর্কে সমালোচনা করুণ।
  • আপনার জেলার নাম কি? জেলা সম্পর্কে ১ মিনিট বলুন।
  • আপনার জেলার বিখ্যাত কিছু মানুষের নাম বলুন এবং তারা কিকারনে বিখ্যাত তা আলোচনা করুণ।
  • আপনার জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম বলুন।
  • আপনার বয়স, জন্ম তারিখ কত?
  • আজ বাংলা ও হিজরি কত তারিখ?
  • আপনি কি কোন দৈনিকপত্রিকা পড়েন? পড়লে সম্পাদকের নাম কি?
  • বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা জানেন তা বলেন?
  • আপনার পরিবার সম্পর্কে বলুন।
  • আমরা আপনাকে কেন চাকুরিটা দিব?
  • বিয়ে করেছেন? কেন করেছেন/করেননি? বিবাহ সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা কি?
  • আরো পড়াশুনা করার ইচ্ছা আছে কি? কেন নেই ইচ্ছা?
  • এর আগে কোথায় জব করেছেন? সেখানে কি ধরনের কাজ করেছেন?সে জবটি কেন ছেড়ে দিতে হলো?
  • বর্তমানে যেখানে কাজ করছেন সেখানকার পরিবেশ ও আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বলুন? সেখান থেকে চলে যেতে চাচ্ছেন কেন?
  • আপনার সিভি দেখেছি। সেখানে উল্লেখ আছে অনেগুলো জব করে ছেড়ে দিয়েছেন! জবের মাঝখানে এত গ্যাপ কেন?
  • আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী জবের স্যালারি কত প্রত্যাশা করেন?
  • ……… এর থেকে কম স্যালারি দেয়া হলে এখানে যোগদান করবেন?
  • আপনি কোন ইউনাভার্সিটি / কলেজ থেকে পাশ করেছেন? সাব্জেক্ট, থিসিস কি?
  • আপনার কোন পাব্লিকেশন আছে? কেন কোন পাব্লিকেশনে অংশগ্রহন করেন নি?
  • কপম্পিউটারে আপনার কি কি স্কিল রয়েছে? কি কি পারেন এবং কেন শিখেছেন?
  • আপনাকে প্রয়োজনে যেকোন জায়গায় কাজ করতে হতে পারে, আপনি কি তাতে রাজি?
  • এক্সেলের ওয়ার্ক শিটের কাজ কেমন পারেন?
  • তাহলে এক্সেলের একটি ওয়ার্কশীট তৈরি করে তার এভারেজ, মিনিমাম, ম্যাক্সিমাম, ভ্যালু বের করে দেখান? নতুন সারি/কলাম ডুকাতে কি কি করবেন?
  • বাংলা ও ইংরেজি টাইপ পারেন? বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং স্পীড কত?
  • আপনি কি ফেসবুক ব্যবহার করেন? কেন করেন?
  • আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কি জানেন?
  • অবশর সময়ে কি করেন?
  • আপনার দূর্বলতা কোন বিষয়ে?
  • আপনার প্রিয় শখ কি?
  • এই পোস্টের জন্য আপনাকে কেন আমাদের নিয়োগ দেওয়া উচিত?
ভাইবা টিপস ও ভাইবা কমন কিছু প্রশ্ন ছাড়া ও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আপনারা যারা ভাইবাতে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তারা চাইলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ভাইবা টিপস বা যেকোন কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন, প্রয়োজনে আমরা আপনার দেওয়া ভাইবা টিপস  ভোল্টেজ ল্যাব ব্লগে প্রকাশিত করবো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনাকে ধন্যবাদ ভেদরগঞ্জ কোচিং সেন্টার এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট পরিবারের পক্ষ থেকে।